বর্তমানে আমাদের সম্মানিত হাসিনা সরকার বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ভবিষ্যতে যে কোন ধরণের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশেষ করে বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানা ও নিজ সার্বোভৌমত্ব ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় একটি আধুনিক ও যুগোপযুগি ত্রিমাত্রিক নৌ বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এছাড়া দেশের অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূলতাকে মোকাবেলা করে বর্তমান সরকার বাংলাদেশ নৌ বাহিনীকে আধুনিক ও শক্তিশালী নৌ বাহিনীহিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে একাধিক বাস্তবমুখী মহা পরিকল্পনা গ্রহণ করার পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে অত্যাধুনিক যুদ্ধ জাহাজ ও অন্যান্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়, সংগ্রহ ও সংযোজন অব্যাহত রেখেছেন।যার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকার ১৫৬৯ কোটি টাকা (২০২ মিলিয়ন ডলার) ব্যয়ে আমাদের নৌ বাহিনীর জন্য নতুন করে আধুনিকায়নকৃত ও আপগ্রডেড সাবমেরিন দুটি চীন থেকে আমদানি করেছে। আর এর মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী বঙ্গপোসাগরে এক লাখ ১১ হাজার ৬৩১ বর্গকিলোমিটার এলাকায় আমাদের নিজস্ব অধিকার ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত হবে।
০৩৫ জি মিং ক্লাস কনভেনশনাল ডিজেল ইলেক্ট্রিক চালিত এট্যাক সাবমেরিন প্রযুক্তিগত ভাবে সত্তর/আশির দশকের পুরনো হলেও চীন চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের জন্য সরবরাহকৃত দুটি সাবমেরিনে আধুনিক প্রযুক্তি ও নতুন সাজ সরঞ্জাম সংযোজন করেছে। এছাড়া সাবমেরিন দুটি দক্ষতার সাথে পরিচালনার করার জন্য চীন সরকার বাংলাদেশের নৌ সেনা ও ক্রুদের পরিচালনা ও প্রয়োজনীয় উচ্চ কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন।
আসলে ২১১৩ টনের মাঝারি আকারের ০৩৫ জি মিং ক্লাস কনভেনশনাল ডিজেল ইলেক্ট্রিক সাবমেরিনের দৈর্ঘ্য ৭৬ মিটার এবং প্রস্থ ৭.৬ মিটার। এর মোট ক্রু সংখ্যা ৫৭ (১০ জন অফিসারসহ)। এ ক্লাস সাবমেরিনে ৮টি ৫৩৩ এমএম টর্পেডো টিউবে টর্পেডো ও মাইন নিক্ষেপ করা যায় এবং এতে মোট ১৮ টি ৪০০ কেজির হাই এক্সপ্লুসিভ ওয়ার হেড সমৃদ্ধ ওয়াইইউ-৪ টর্পেডো ও ৩২টি মাইন সংরক্ষণ করা সম্ভব, যা এটিকে শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনে আক্রমণ করার সক্ষমতা প্রদান করেছে। এছাড়া, সারফেসে এ সাবমেরিনের গতি ১৫ নটিক্যাল এবং সাব-মার্জড অবস্থায় ১৮ নটিক্যাল মাইল গতিতে ছুটে চলতে সক্ষম। ৫২০০ হর্স পাওয়ার শক্তি ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি শক্তিশালী কনভেনশনাল ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে।
- সিরাজুর রহমান, সিংড়া, নাটোর।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন